আগর থেকে সুগন্ধি আতর: মৌলভীবাজার সদর থেকে যেতে সুজানগরের আগেই জুড়ি উপজেলা। সেখানেই আতর তৈরির কারখানা করেছেন সোহাগ মিয়া। ‘আলীফ আগর-আতর’ নামে তাঁর ছোট কারখানাটি ঘুরিয়ে দেখাতে দেখাতে আগর থেকে আতর তৈরির খুঁটিনাটি বললেন তিনি। তাঁর সঙ্গে প্রস্তাবিত জুড়ি আগর-আতর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইমরুল ইসলামও ছিলেন। আগরগাছ লাগানোর পর ছয়-সাত বছর বয়স হলেই পুরো গাছে এক ইঞ্চি পরপর পেরেক মারা হয়। তখন গাছ থেকে একধরনের রস বের হয়। পেরেকের চারপাশে সেই রস জমে কালো রং ধারণ করে। এভাবেই তিন থেকে পাঁচ বছর রাখা হয়। এরপর গাছ কাটা হয়। ছোট ফালি করে কাটার পর পেরেক খোলা হয়। তখন গাছের কালো ও সাদা অংশ আলাদা করা হয়। সেই কাঠ কারখানার হাউস কিংবা প্লাস্টিকের ড্রামে রাখা পানিতে ভেজানো হয়। এভাবে ফেলে রাখা হয় এক থেকে দেড় মাস। তারপর সেগুলো স্টিলের ডেকচির মধ্যে দিয়ে অনবরত জ্বাল দেওয়া হয়। তখন পাতন পদ্ধতিতে ফোঁটায় ফোঁটায় আতর নির্দিষ্ট পাত্রে জমা হয়। সোহাগ মিয়া বললেন, আগরগাছের কালো অংশ দিয়েই ভালো মানের আতর হয়। তবে সাদা অংশ দিয়েও হয়, তবে সেটি একটু নিম্নমানের আতর। এ ছাড়া আতর তৈরির প্রক্রিয়া শেষে ব্যবহৃত কাঠ গুঁড়ো করে বিক্রি হয়। এক ...